সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলী ও তালতলী আঞ্চলিক সড়কের আড়পাঙ্গাশিয়া নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি মেরামতের অভাবে ২২ দিন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে অসুবিধায় পড়ে দুই উপজেলার বাসিন্দারা। তবে ভয়েস অব বরিশাল.কম সংবাদ প্রকাশের পর ব্রিজটি মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করে আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ।
জানা গেছে, দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র স্টিলের এই ব্রিজটি ১৯৮৫ সালে নির্মাণ করে স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ। দুই উপজেলার সেতুবন্ধন এই ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা-তালতলী, বরিশাল-তালতলী, আমতলী-তালতলীগামী হাজারো যানবাহন যাতায়াত করে। অধিক গাড়ি চলাচল করায় দীর্ঘদিন ব্রিজটি সংস্কার না করার কারণে ব্রিজটি নড়বড়ে হয়ে পড়ে। ব্রিজের পাটাতন আলগা হয়ে সরে গিয়ে মাঝখানের পাটাতন ডেবে যাওয়া ও ব্রিজটি মেরামত না করার কারণে গত ২২ দিন ধরে ওই ব্রিজটি দিয়ে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।
এ নিয়ে জনপ্রিয় ভয়েস অব বরিশাল অনলাইন নিউজ প্রোটালে গত ২১ ফেব্রুয়ারি সংবাদ প্রকাশের পর ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই ব্রিজ মেরামতের কাজ শুরু করে আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ। তবে গত ২০ দিনেও ব্রিজটির মেরামতের কাজ শেষ হয়নি। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগের লোকজন সপ্তাহখানেক ব্রিজটির মেরামতের কাজ শুরু করে তা ফেলে রেখে যাওয়ার পরে আবার গত দুই থেকে তিন দিন ধরে কাজ শুরু করেছে।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. হুমায়ূন কবির হাওলাদার জানান, উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগের গড়িমসিতে মাঝখানে কাজ বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষকে। দ্রুত বেইলি ব্রিজটি মেরামত করে যাতায়াতের পথ সুগম করার দাবি জানান তিনি। বাস চালক মো. শানু মিয়া বলেন, ব্রিজটির মেরামতের কাজ বন্ধ থাকায় গত ২২ দিন ধরে গাড়ি নিয়ে তালতলী যেতে পারছি না। এতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন মুঠোফোনে জানান, ব্রিজটি মেরামতের জন্য যে বিমগুলো প্রয়োজন সেগুলো না পাওয়ায় মেরামত কাজ কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ওই নদীতে একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আশা করি আজ-কালের মধ্যে ব্রিজটির অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার পরে ভারী যান চলাচল করতে পারবে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন মুঠোফোনে জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে ও ব্রিজটি মেরামতের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ব্রিজটি মেরামতের জন্য পাঁচটি বিমের প্রয়োজন ছিল। ওই বিমগুলো না পাওয়ায় মেরামত কাজ কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে।
Leave a Reply